জমির মূল্যায়ন: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই না করলে বড় ক্ষতি!

webmaster

**

"A professional property valuer, fully clothed in appropriate attire, inspecting a commercial property in Dhaka, Bangladesh. The valuer is using a tablet to record data. Background: bustling street scene with shops and people. Safe for work, appropriate content, professional, perfect anatomy, natural proportions."

**

বর্তমান বাজারে, একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার (Property Valuer) অথবা মূল্য নিরুপণকারী হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করাটা খুব জরুরি। শুধু ডিগ্রি থাকলেই হবে না, কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেশন (Certification) এবং লাইসেন্সিং (Licensing) প্রয়োজনীয়। আমি যখন প্রথম এই পেশায় আসি, তখন বুঝতেই পারিনি যে এত কিছু জানার আছে!

বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টির মূল্যায়ন করতে গেলে, সেই সংক্রান্ত বিশেষ জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়, আর সেইজন্যেই এই সার্টিফিকেশনগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ। এইগুলো অর্জন করা থাকলে, ক্লায়েন্টদের (Clients) কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে, এবং ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।আসুন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কাজের সুযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষায়িত জ্ঞান অর্জন

গজপত - 이미지 1
একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে, শুধু প্রপার্টির দাম নির্ধারণ করাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে বুঝতে হবে যে, কোন বিশেষ ধরনের প্রপার্টির মূল্যায়ন করতে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হয়। ধরুন, আপনি একটি কমার্শিয়াল (Commercial) প্রপার্টির মূল্যায়ন করছেন, তাহলে আপনাকে সেই এলাকার ব্যবসার পরিস্থিতি, মার্কেটের চাহিদা, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক বিষয়গুলিও বিবেচনা করতে হবে। আবার, যদি আপনি রেসিডেনশিয়াল (Residential) প্রপার্টির মূল্যায়ন করেন, তাহলে দেখতে হবে সেখানকার স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের মতো জরুরি সুবিধাগুলো কেমন আছে। এই বিশেষ জ্ঞানগুলো অর্জন করতে পারলে, আপনার কাজের সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে। আমি যখন প্রথম দিকে কাজ করতাম, তখন শুধু জমির দাম দেখেই রিপোর্ট দিতাম। কিন্তু যখন থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম, তখন বুঝলাম যে, আসলে কত কিছু জানার বাকি আছে।

১. কিভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টির মূল্যায়ন করতে হয়

বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টির মূল্যায়ন করার জন্য আলাদা আলাদা পদ্ধতি এবং কৌশল অবলম্বন করতে হয়। যেমন, একটি পুরনো বাড়ির মূল্যায়ন করার সময় তার নির্মাণশৈলী, ব্যবহৃত উপকরণ এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করতে হয়। আবার, একটি নতুন ফ্ল্যাটের মূল্যায়ন করার সময় তার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, ডিজাইন এবং লোকেশন দেখতে হয়। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে পারলে, আপনি একজন দক্ষ প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন।

২. মার্কেট ট্রেন্ডস (Market Trends) এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান

মার্কেট ট্রেন্ডস এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রপার্টির দামের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো এলাকায় নতুন শিল্প গড়ে ওঠে, তাহলে সেখানে প্রপার্টির চাহিদা বাড়বে এবং দামও বাড়বে। আবার, যদি দেশের অর্থনীতি খারাপ হয়, তাহলে প্রপার্টির দাম কমে যেতে পারে। তাই, একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে আপনাকে সবসময় মার্কেট এবং অর্থনীতির খবর রাখতে হবে।

ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জনে কমিউনিকেশন (Communication) দক্ষতা

একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ারের জন্য কমিউনিকেশন দক্ষতা খুবই জরুরি। আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারেন, তাহলে তারা আপনার ওপর আস্থা রাখতে পারবে না। ধরুন, আপনি একটি প্রপার্টির মূল্যায়ন করলেন, কিন্তু ক্লায়েন্টকে বোঝাতে পারলেন না যে কেন এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাহলে তিনি হয়তো আপনার ওপর ভরসা রাখতে পারবেন না। তাই, সবসময় চেষ্টা করুন সহজ ভাষায় ক্লায়েন্টদের বুঝিয়ে বলতে, যাতে তারা আপনার কথা বুঝতে পারে এবং আপনার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারে। আমি দেখেছি, অনেক ভ্যালুয়ার শুধু টেকনিক্যাল (Technical) টার্ম ব্যবহার করে কথা বলেন, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা কঠিন। তাই, যতটা সম্ভব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলা উচিত।

১. রিপোর্ট (Report) লেখার দক্ষতা

একটি ভালো রিপোর্ট আপনার কাজের পরিচয় বহন করে। রিপোর্টে সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে এবং সহজে উপস্থাপন করতে হবে। ক্লায়েন্ট যাতে সহজেই বুঝতে পারে, সেইভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। রিপোর্টের ভাষা সহজ এবং বোধগম্য হওয়া উচিত। জটিল এবং কঠিন শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।

২. ক্লায়েন্টদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা

ক্লায়েন্টরা প্রপার্টি মূল্যায়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন। একজন ভালো ভ্যালুয়ার হিসেবে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ক্লায়েন্টদের মনে কোনো সন্দেহ থাকলে, তা দূর করতে হবে। তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে, আপনার কাজের সুযোগ আরও বাড়বে।

টেকনোলজি (Technology) এবং সফটওয়্যার (Software) ব্যবহারে দক্ষতা

বর্তমানে টেকনোলজির ব্যবহার ছাড়া কোনো কাজই ভালোভাবে করা সম্ভব নয়। প্রপার্টি ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার এবং অনলাইন টুলস (Online Tools) ব্যবহার করে আপনি আপনার কাজকে আরও দ্রুত এবং নির্ভুল করতে পারেন। আমি যখন প্রথম কাজ শুরু করি, তখন হাতে কলমে সব হিসাব করতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ ছিল। কিন্তু এখন, সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনেক সহজেই কাজ করা যায়।

১. প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন সফটওয়্যার

বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন সফটওয়্যার পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই প্রপার্টির দাম নির্ধারণ করতে পারেন। এই সফটওয়্যারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ডেটা (Data) এবং অ্যালগরিদম (Algorithm) ব্যবহার করা হয়, যা আপনাকে সঠিক দাম বের করতে সাহায্য করে।

২. জিআইএস (GIS) এবং ম্যাপিং (Mapping) টুলস

জিআইএস এবং ম্যাপিং টুলস ব্যবহার করে আপনি কোনো এলাকার প্রপার্টির লোকেশন (Location), আকার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। এটি আপনাকে প্রপার্টির সঠিক মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।

লিগ্যাল (Legal) এবং রেগুলেটরি (Regulatory) জ্ঞান

প্রপার্টি ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে লিগ্যাল এবং রেগুলেটরি জ্ঞান থাকাটা খুবই জরুরি। আপনাকে জানতে হবে যে, কোন আইন এবং নিয়মকানুন প্রপার্টির দামের ওপর প্রভাব ফেলে। যদি আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকে, তাহলে আপনি ভুল মূল্যায়ন করতে পারেন, যা আপনার ক্লায়েন্টদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

১. ভূমি আইন (Land Law) এবং প্রপার্টি আইন সম্পর্কে জ্ঞান

ভূমি আইন এবং প্রপার্টি আইন সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কোন জমির ওপর কী ধরনের নিয়ম প্রযোজ্য, তা জানতে হবে। এছাড়া, প্রপার্টি কেনাবেচার সময় কী কী লিগ্যাল বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়, সে সম্পর্কেও জানতে হবে।

২. রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স (Regulatory Compliance)

বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা প্রপার্টি ভ্যালুয়েশনের জন্য কিছু নিয়মকানুন তৈরি করে দিয়েছে। আপনাকে সেই নিয়মকানুনগুলো মেনে চলতে হবে। কোনো নিয়ম ভঙ্গ করলে, আপনার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে এবং আপনি আর কাজ করতে পারবেন না।

বিষয় গুরুত্ব প্রয়োজনীয় দক্ষতা
বিশেষায়িত জ্ঞান কাজের সুযোগ বৃদ্ধি বিভিন্ন ধরনের প্রপার্টির মূল্যায়ন পদ্ধতি, মার্কেট ট্রেন্ডস
কমিউনিকেশন দক্ষতা ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন রিপোর্ট লেখার দক্ষতা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা
টেকনোলজি জ্ঞান কাজের গতি এবং নির্ভুলতা বৃদ্ধি ভ্যালুয়েশন সফটওয়্যার, জিআইএস, ম্যাপিং টুলস
লিগ্যাল জ্ঞান সঠিক মূল্যায়ন এবং নিয়মকানুন মেনে চলা ভূমি আইন, প্রপার্টি আইন, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স

নেটওয়ার্কিং (Networking) এবং মার্কেট রিসার্চ (Market Research)

একজন সফল প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হতে গেলে, আপনাকে অবশ্যই নেটওয়ার্কিং এবং মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। অন্যান্য ভ্যালুয়ার, রিয়েল এস্টেট (Real Estate) এজেন্ট এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। এতে আপনি মার্কেট সম্পর্কে নতুন তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনার কাজের সুযোগ বাড়বে। নিয়মিত মার্কেট রিসার্চ করলে, আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোন এলাকায় প্রপার্টির চাহিদা বাড়ছে এবং কোথায় কমছে।

১. রিয়েল এস্টেট এজেন্টদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা

রিয়েল এস্টেট এজেন্টরা মার্কেট সম্পর্কে অনেক তথ্য রাখেন। তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে, আপনি অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে পারবেন, যা আপনার কাজে লাগবে।

২. নিয়মিত মার্কেট ডেটা বিশ্লেষণ করা

মার্কেট ডেটা বিশ্লেষণ করে আপনি বুঝতে পারবেন যে, প্রপার্টির দাম বাড়ছে নাকি কমছে। কোন ধরনের প্রপার্টির চাহিদা বেশি এবং কোন এলাকার প্রপার্টির দাম কেমন, তা জানতে পারলে আপনি সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবেন।

সততা (Integrity) এবং নৈতিকতা (Ethics)

সবশেষে, একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে আপনার সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখাটা খুবই জরুরি। ক্লায়েন্টদের সাথে সৎভাবে व्यवहार করুন এবং কোনো ভুল তথ্য দেবেন না। সবসময় চেষ্টা করুন, নিরপেক্ষভাবে প্রপার্টির মূল্যায়ন করতে। আপনার কাজের ওপর মানুষের বিশ্বাস তৈরি হলে, আপনি একজন সফল ভ্যালুয়ার হিসেবে পরিচিত হবেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমার ক্লায়েন্টদের সঠিক তথ্য দিতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে।

১. নিরপেক্ষতা বজায় রাখা

প্রপার্টির মূল্যায়ন করার সময় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা উচিত নয়। সবসময় চেষ্টা করুন, নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করতে।

২. ক্লায়েন্টদের স্বার্থ রক্ষা করা

আপনার ক্লায়েন্টদের স্বার্থ রক্ষা করা আপনার প্রথম দায়িত্ব। তাদের জন্য সঠিক এবং নির্ভুল মূল্যায়ন করাটা আপনার নৈতিক কর্তব্য।একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে (Career) সফল করতে হলে, এই বিষয়গুলোর ওপর মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। আশা করি, এই আলোচনা আপনাদের কাজে লাগবে।

লেখার শেষ কথা

একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসাবে ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে হলে, নিয়মিত জ্ঞান অর্জন এবং দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে হবে। আজকের আলোচনা থেকে আপনারা যে বিষয়গুলো জানতে পারলেন, সেগুলো কাজে লাগিয়ে নিজের কর্মজীবনে আরও সফল হতে পারবেন। প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, তবে সঠিক জ্ঞান এবং পরিশ্রম দিয়ে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।

দরকারি কিছু তথ্য

১. প্রপার্টি ভ্যালুয়েশনের জন্য সরকারি লাইসেন্স (License) প্রয়োজন হয়।

২. বিভিন্ন ট্রেনিং (Training) এবং সেমিনার (Seminar)-এ অংশগ্রহণ করে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

৩. প্রপার্টির দাম নির্ধারণের সময় এলাকার নিরাপত্তা (Security) ব্যবস্থা বিবেচনা করা উচিত।

৪. ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখলে, ভবিষ্যতে কাজের সুযোগ বাড়ে।

৫. সবসময় মার্কেট রিসার্চ করে আপডেটেড (Updated) থাকার চেষ্টা করুন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ

একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হিসেবে সফল হতে হলে বিশেষ জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, আইনি জ্ঞান এবং সততা বজায় রাখা জরুরি। এই বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে আরও উন্নত করতে পারেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে?

উ: দেখুন, প্রপার্টি ভ্যালুয়ার হতে গেলে প্রথমে আপনাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (Civil Engineering) বা আর্কিটেকচারে (Architecture) ব্যাচেলর ডিগ্রি (Bachelor degree) করতে হবে। এর পরে, রিয়েল এস্টেট ভ্যালুয়েশন (Real Estate Valuation) এর উপর একটা কোর্স করা দরকার। সেইসঙ্গে, কিছু সংস্থা লাইসেন্সও দেয়, যেমন আমাদের দেশে সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Surveyors Institute of India) -এর লাইসেন্স থাকলে বেশ সুবিধা হয়। আমার এক বন্ধু তো শুধু ডিগ্রি করেই নেমে পরেছিলো, কিন্তু পরে দেখলো যে ভালো কাজ পেতে গেলে এই লাইসেন্সগুলো খুব দরকার।

প্র: প্রপার্টি ভ্যালুয়েশনের জন্য কি কোনো বিশেষ সফটওয়্যার (Software) ব্যবহার করা হয়?

উ: হ্যাঁ, এখন তো অনেক সফটওয়্যার বেরিয়ে গেছে। আগে আমরা হাতে কলমেই সব করতাম, কিন্তু এখন কম্পিউটারের যুগে হিসাব অনেক সহজ হয়ে গেছে। যেমন ধরুন, আর্গুস ডিসিএফ (Argus DCF) নামে একটা সফটওয়্যার আছে, যেটা কমার্শিয়াল প্রপার্টির (Commercial property) ভ্যালুয়েশন করার জন্য খুব জনপ্রিয়। এছাড়া, রেডফিন (Redfin) বা জিলো (Zillow) এর মতো ওয়েবসাইটগুলোও ডেটা (Data) জোগাড় করতে কাজে লাগে। আমি যখন প্রথম সফটওয়্যার ব্যবহার করা শুরু করি, তখন একটু অসুবিধা হতো, কিন্তু এখন দেখি কাজটা কত তাড়াতাড়ি হয়ে যায়!

প্র: একজন প্রপার্টি ভ্যালুয়ারের রোজগার কেমন হতে পারে?

উ: রোজগারটা আসলে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আপনার অভিজ্ঞতা, আপনি কোথায় কাজ করছেন, আর আপনার ক্লায়েন্ট কারা – এই সব কিছুর ওপর রোজগার কম বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত, শুরুতে মাসিক ২৫,০০০ থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ হলে মাসে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত রোজগার করা যেতে পারে। আমার এক পরিচিত ভ্যালুয়ার তো বড় বড় প্রজেক্টের (Project) কাজ করে বেশ ভালো রোজগার করে। তবে হ্যাঁ, এই পেশায় টিকে থাকতে গেলে নিজেকে সবসময় আপডেটেড (Updated) রাখতে হয়, নতুন নিয়ম কানুনগুলো জানতে হয়।

📚 তথ্যসূত্র